অনলাইন ডেস্ক
কয়েক মৌসুম আগেও চ্যাম্পিয়নস লিগে নিয়মিত খেলত সেভিয়া। সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইউরোপা লিগের সফলতম দল তারাই।
সেই সেভিয়া এখন ইউরোপীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেওয়া দূরে থাক, লা লিগায় টিকে থাকতে রীতিমতো সংগ্রাম করছে।
সর্বশেষ গতকাল রাতে লিগে সেল্তা ভিগোর মাঠে ৩-২ গোলে হেরেছে সেভিয়া। এরপর নিজেদের শহরে ফেরার পর সমর্থকদের তোপের মুখে পড়ে পুরো দল। বাধ্য হয়ে অনুশীলন মাঠে রাত কাটাতে হয় খেলোয়াড় ও অন্যদের।
সেভিয়া দলের সবাই অনুশীলন মাঠে আছেন, জানতে পেরে ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা সেখানেই প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়, এমনকি ফাঁকা গুলিও চালায়।
এ ঘটনায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সে পৌঁছার পর আমাদের কর্মী, খেলোয়াড়, কারিগরি দল ও ম্যানেজমেন্টের ওপর অস্বাভাবিক সহিংস আক্রমণ চালানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করব। এই আক্রমণের কারণে আমাদের মূল দল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছে।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা জানিয়েছে, ১০ জনের সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও হারের কারণে সেভিয়ার সমর্থকেরা রেগে লাল হয়ে যান। তাঁরা সেভিয়ার সান পাবলো বিমানবন্দরে জড়ো হন এবং অপেক্ষা করতে থাকেন দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্ট কখন সেখানে পৌঁছান। কিন্তু তোপ থেকে বাঁচতে দলটি সমর্থকদের এড়িয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেভিয়া সমর্থকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং কয়েক শ সমর্থক ক্লাবের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নেন। টিম বাস ক্লাব চত্বরে পৌঁছাতেই তাঁরা ডিম ও নানা ধরনের বস্তু ছুড়ে মারতে থাকেন। এ সময় অনেকে খেলোয়াড়দের গালিগালাজ করেন এবং ক্লাব সভাপতি হোসে কাস্ত্রোর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
কয়েকজন সমর্থক গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশেরও চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা সারা রাত সেখানেই থেকে যান। বের হতে না পেরে সেভিয়া দলকে অনুশীলন মাঠেই ঘুমাতে হয়।
কাল সেল্তা ভিগোর কাছে হারের পর লা লিগা পয়েন্ট তালিকার ১৬ নম্বরে আছে সেভিয়া। ২০০০ সালের পর লিগে এটিই তাদের সবচেয়ে বাজে অবস্থান। অবনমন অঞ্চল থেকে দলটি মাত্র ৪ পয়েন্ট ওপরে।
এই মৌসুমে লিগে আরও তিনটি ম্যাচ বাকি সেভিয়ার। আগামী মঙ্গলবার পয়েন্ট তালিকার ১৯ নম্বরে থাকা লাস পালমাসকে আতিথ্য দেবে আন্দালুসিয়ান ক্লাবটি।
0 comments: