Tuesday, June 3, 2025

নির্বাচন ডিসেম্বরের পর নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই — সালাহউদ্দিন আহমদ।

নির্বাচন ডিসেম্বরের পর নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই — সালাহউদ্দিন আহমদ।

 


অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পর যাওয়ার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এ কথা বলেছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার শুরু উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এ বৈঠক হয়।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। আগেই জরুরি ভিত্তিতে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নির্বাচনমুখী, সে সংস্কারগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা ঐকমত্যের মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই, যেগুলো এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংশোধন যেগুলোর বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাবে সবাই একমত, সেগুলো অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

‘সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পর যাওয়ার মতো একটিও কারণ উল্লেখ করার মতো নেই,’ বলেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

সালাহউদ্দিন এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘এ বিষয়টা আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আবারও সে পন্থার প্রস্তাব দিয়েছি। আজকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে আমরা দেখলাম, ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য সবার প্রস্তাব আছে। প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আশা করি, তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে সে ভূমিকা পালন করবেন।’

সংস্কার নিয়ে মতৈক্যের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের আলাপ–আলোচনায় মনে হয়েছে, কিছু কিছু জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁরা একমত হওয়ার জন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। হয়তোবা আমরা জাতীয়ভাবে সব বিষয়ে একমত পোষণ করতে পারব না, এ–ই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু আমরা আলাপ-আলোচনা করব। কোথাও আমরা একমত হতে পারব, কোথাও আবার একমত হওয়ার কাছাকাছি আসতে পারব, এভাবেই একটি জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এ বৈঠকে বিএনপির নেতাদের মধ্যে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। আজকের এ বৈঠকের জন্য ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

প্যারোল না পেয়ে জেলগেটেই দূর থেকে মায়ের শেষবারের মতো দেখা নেন সাবেক এমপি।

প্যারোল না পেয়ে জেলগেটেই দূর থেকে মায়ের শেষবারের মতো দেখা নেন সাবেক এমপি।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক


মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি পাননি রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান। এ কারণে সোমবার রাত সোয়া আটটায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে দূর থেকে তাঁকে শেষবার মায়ের মুখ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

আসাদুজ্জামান সম্প্রতি কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের রাজশাহী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। গেল বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে তিনি গ্রেপ্তার হন। এখন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী।

আসাদুজ্জামানের মা সালেহা বেগম ৮০ বছর বয়সে সোমবার বিকেলে মারা যান। স্বজনেরা জানান, তাঁর মৃত্যুর পর বড় ছেলে আসাদুজ্জামানের প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তবে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কারাফটকে মৃত মায়ের মুখটি একনজর দেখার।

এ ব্যাপারে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান প্যারোলে মুক্তি পাননি। তাই মানবিক কারণে মরদেহটি অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলগেটে এনে দূর থেকে তাঁকে দেখানো হয়েছে।

প্যারোলের আবেদনের বিষয়ে জানার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মির্জা ইমাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি এডিএম (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) দেখে থাকেন। তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম ফোন ধরেননি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা সাত ভাই–বোন। এর মধ্যে পাঁচ ভাই সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আসাদুজ্জামান কারাগারে। অন্য চারভাইও আত্মগোপনে। এই চার ভাইও মায়ের মুখ দেখার সুযোগ পাননি। শুধু এসেছিলেন সালেহা বেগমের তৃতীয় সন্তান আক্তারুজ্জামান। তিনি কোনো রাজনীতিতে জড়াননি। জীবিকা নির্বাহ করেন প্রাইভেট কার চালিয়ে।

স্বজনেরা জানান, বিকেলে বাড়ি গিয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখেছেন আক্তারুজ্জামান। তবে নিরাপত্তার সংশয়ে তিনিও অংশ নিতে পারেননি মায়ের জানাজায়।

সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় রাজশাহী নগরের মহিষবাথান গোরস্তানের পাশে জানাজা শেষে সালেহা বেগমের লাশ দাফন করা হয়।


ভাড়ায় নেওয়া মোটরসাইকেলচালক ঢাকা থেকে নরসিংদীতে নিয়ে গিয়ে ওই নারীকে যৌন নির্যাতন করেন।

ভাড়ায় নেওয়া মোটরসাইকেলচালক ঢাকা থেকে নরসিংদীতে নিয়ে গিয়ে ওই নারীকে যৌন নির্যাতন করেন।

 



নিজস্ব প্রতিবেদক


ঢাকা থেকে অপহরণের পর নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে উদ্ধার হওয়া নারীটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। তিনি একটি বিউটি পারলারের কর্মী। গত ২৮ মে ঢাকার একটি জায়গা থেকে ভাড়ার মোটরসাইকেলে চড়ে আরেক জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পর তাঁকে অচেতন করে নরসিংদীতে নেওয়া হয়। ওই নারীকে নরসিংদীর ঘোড়াশালের একটি সেতুর কাছে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তাঁর স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকাও আদায় করে অপরাধী চক্র।

এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে মো. শাহ পরান (৩০) নামের ওই মোটরসাইকেলচালককে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল রোববার শাহ পরান এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবাবন্দি দিয়েছেন বলে নরসিংদীর পুলিশ জানিয়েছে।

২৮ মে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঢাকা থেকে অপহরণের সাত ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াশাল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, বেলা তিনটার দিকে তাঁর ভাগনিকে ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে তাঁর কাছে টাকা চাচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের কাছে ২ হাজার ৫০০ টাকা পাঠিয়েছেন। ওই ব্যক্তি তাঁর ভাগনিকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর নরসিংদীর পলাশ থানার পুলিশ ঘোড়াশাল কালভার্ট ব্রিজের কাছ থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে।

নরসিংদী জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অপহৃত নারীকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। পরে ওই নারী বাদী হয়ে পলাশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা নরসিংদী জেলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদীর পুলিশ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত শাহ পরানের অবস্থান নিশ্চিত হয় এবং শনিবার রাতে কেরানীগঞ্জের বটতলীর দক্ষিণপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

 জিজ্ঞাসবাদে শাহ পরান অপহরণ ও ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গতকাল আদালতে জবানবন্দি দেন। আদালত জবানবন্দি নিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে শাহ পরান পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেন, সৌদি আরবে থাকার পর সম্প্রতি তিনি দেশে ফেরেন এবং রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেল চালাতেন। তাঁর বাড়ি কেরানীগঞ্জের দক্ষিণপাড়ায়। সেখানে তাঁর দুই স্ত্রী থাকেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীটির ভাষ্য অনুযায়ী শাহ পরান তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং শাহ পরানের দুই সহযোগী ওই নারীর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।

পলাশ থানায় ওই নারীর করা মামলায় বলা হয়, ২৮ মে বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর থেকে তিনি চিকিৎসক দেখানোর জন্য রাইড শেয়ারিংয়ের একটি মোটরসাইকেলে নগরীর শ্যামলীর উদ্দেশে রওনা দেন। মিরপুর ১০ নম্বর পার হওয়ার পর তিনি কিছু মনে করতে পারছিলেন না। ওই দিন রাত ৯টার দিকে ঘোড়াশালের কালভার্ট ব্রিজে পৌঁছানোর পর তিনি স্বাভাবিক হন এবং দেখতে পান মোটরসাইকেলের চালক তাঁকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ধাক্কা মেরে রাস্তার নিচে ফেলে দেন। এ সময় মোটরসাইকেলচালকের অপর দুই বন্ধু আরেকটি মোটরসাইকেলে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলের চালক তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁর দুই বন্ধু ওই নারীর মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে থাকা তিন হাজার টাকা তাঁদের নম্বরে স্থানান্তর করে মোটরসাইকেল করে চলে যান।

শাহ পরানের দুই বন্ধুকে খোঁজা হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।

২০২৫ সালে নোবেলসহ দশটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার থেকে পাওয়া অর্থ করমুক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।

২০২৫ সালে নোবেলসহ দশটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার থেকে পাওয়া অর্থ করমুক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।

 



অনলাইন ডেস্ক


নোবেল পুরস্কারের অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে। এর পাশাপাশি মোট ১০ ধরনের পুরস্কার অর্থকে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশি কোনো করদাতা এসব পুরস্কারের অর্থ মোট আয় থেকে বাদ দিতে পারবে। বাজেটে এই কর মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নোবেল পুরস্কার ছাড়া অন্য পুরস্কারগুলো হলো র‍্যামন ম্যাগসাইসাই, বুকার, পুলিৎজার, সাইমন বলিভার, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, গ্রামি, এমি, গোল্ডেন গ্লোব, কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পান। এ ছাড়া আরও কয়েকজন র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন।

আয়কর আইনের ষষ্ঠ তফসিলে কোন কোন খাতের আয়কে মোট আয় পরগনা থেকে দেওয়া হবে, তা বলা আছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সেখানে সংশোধন করে এসব পুরস্কারের অর্থকে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়।

বিদ্যমান আয়কর আইন অনুসারে, বিদেশ থেকে কোনো আয় যদি রেমিট্যান্সের শর্ত মেনে দেশে আনা হয়, তাহলে তা করমুক্ত। কিন্তু আলোচ্য বিদেশি পুরস্কার কেউ যদি পান, তাহলে পুরস্কারের অর্থ কীভাবে আয়করের আওতায় আসবে কিংবা করমুক্ত থাকবে কি না, পরিষ্কার বলা নেই।


Monday, June 2, 2025

সাভারের ভুয়া পুলিশের এসবি পরিচয়ে এক প্রতারক গ্রেপ্তার

সাভারের ভুয়া পুলিশের এসবি পরিচয়ে এক প্রতারক গ্রেপ্তার

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

সাভারে পুলিশের স্পেশাল ব্যাঞ্চ (এসবি) পরিচয়ে এক দোকানীকে ভুয়া ওরেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে সোহান (২৮) নামে এক প্রতারক। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সাভার মডেল থানায় মামলা হলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার রাজাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার সোহান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের শুক্কুর আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে রাজফুলবাড়িয়ার রাজাঘাট এলাকায় দোকানী সাইফুল ইসলামকে মাদককারবারি আখ্যা দিয়ে পুলিশের এসবি পরিচয় দিয়ে ভুয়া ওরেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করতে যায় প্রতারক সোহান ও ভাড়াটে গাড়ির ড্রাইভার হাসনাত।

পরে বিষয়টি ওই হোটেল ব্যবসায়ীর সন্দেহ হলে তিনি এলাকাবাসীকে খবর দিলে তারা এক জোট হয়ে তাদেরকে আটক করে। এ সময় সোহান ভুয়া এসবির আইডি কার্ডও দেখান যে তারা এসবির লোক।

পরে এলাকাবাসী সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িসহ সোহানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে আটকের সময় ভুয়া এসবি পরিচয়দানকরী প্রতারক সোহান পুলিশের সামনেই এলাকাবাসীদের হত্যা করার হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। এলাকাবাসী আরো জানান, ওই ভুয়া এসবি কর্মকর্তা রাজফুলবাড়িয়ার পুলিশ টাউনে ভাড়া থেকে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল। তাদের চাঁদাবাজি আর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছিল। এর আগেও তারা রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় এসবির পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করেছিল বলেও বলেন তারা।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের এবং আসামি সোহানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Saturday, May 31, 2025

সাভারের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে  দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

সাভারের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাভারস্থ দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদ জিয়া জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ডে জাতীয় মাশরুম সেন্টার সংলগ্ন এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ জিয়া জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এনামুল করিম মিন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর ও সাভার পৌরসভা জনপ্রিয় মেয়র প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম, এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খোরশেদ আলম বলেন,সাভারের মাটি বিএনপির ঘাটি,শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘাটি,দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার ঘাটি,তারেক রহমানের ঘাটি। তাই জীবন থাকতে কোন অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করবোনা। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন,শহীদ জিয়া জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা এ্যাড : মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

এসময় দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন,পৌর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মনিবুর রহমান চম্পক,২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়ার মো. উজ্জ্বল,৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোশারফ হোসেন মোল্লা,৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রাশেদুজ্জামান বাচ্চু ও ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইউনুছ খান , প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সরকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান করিম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে খোরশেদ আলম গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে খোরশেদ আলম গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।


 

আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি 


মহান স্বাধীনতার ঘোষক,বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর ও সাভার পৌরসভা জনপ্রিয় মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ খোরশেদ আলম।এ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে মোঃ খোরশেদ আলম বলেন,জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের আত্মত্যাগ ও অবদান ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।শহীদ জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্রনায়ক নন,তিনি ছিলেন দেশের স্বাধীনতা,গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক।তাঁর সাহসী নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতার কারনে আজকের বাংলাদেশ একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।তিনি আরও বলেন,আমরা তাঁর আদর্শ ও নীতিকে ধারণ করে একটি সুখী,সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।শহীদ জিয়ার শোষণমুক্ত,আত্মনির্ভরশীল ও জনগণের ক্ষমতায়নভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোঃ খোরশেদ আলম দেশবাসীর প্রতি তাঁর স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখার আহ্বান জানান।