Thursday, June 5, 2025

নিশিরাতে আলো ঝলমল করছিল, বিজয়ের উল্লাস ছিল, আর সঙ্গে ছিলেন একজন হামজা চৌধুরী।

নিশিরাতে আলো ঝলমল করছিল, বিজয়ের উল্লাস ছিল, আর সঙ্গে ছিলেন একজন হামজা চৌধুরী।

 

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভে গেছে। গ্যালারির শোরগোল থেমে এসেছে। অন্ধকার ছড়িয়ে পড়া স্টেডিয়ামে তবু যেন আলোর কমতি নেই! রাতটা যে শুধুই ভুটানের বিপক্ষে একটা জয়ের নয়, নতুন শুরুর সাক্ষীও।

ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ শুধু ম্যাচই জেতেনি, জিতেছে আত্মবিশ্বাসও। ফিরে পেয়েছে ফুটবল-উন্মাদনাও। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এসেছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কোচিং স্টাফরাও। তাঁদের সাংবাদিকদের সারিতে বসিয়ে হেসে বললেন, ‘এটা প্রত্যাশিত জয়। সেট পিস থেকে গোল পেয়েছি আমরা, খেলোয়াড়দের মানসিকতাও ছিল দারুণ ইতিবাচক।

তবে আসল প্রশংসাটা এল প্রতিপক্ষের শিবির থেকে। ভুটানের জাপানি কোচ আতসুশি নাকামুরা বললেন, ‘হামজাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সে এক উঁচুমানের খেলোয়াড়। বল পায়ে এবং বল ছাড়া—দুই ভূমিকাতেই সে অনন্য। মাঠে তার উপস্থিতি অন্যরকম। এ ধরনের খেলোয়াড় যেকোনো দলের জন্যই সম্পদ।’

এরপর যোগ করলেন, ‘এই ম্যাচটি আমাদের জন্য কঠিন ছিল। গত বছর থিম্পুতে বাংলাদেশকে দেখেছি লম্বা বল খেলতে, কিন্তু এই বাংলাদেশ পাসিং, বিল্ডআপ ও মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণে অনেক উন্নতি করেছে। আর সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রে হামজা।’ কাবরেরাও মেনে নিলেন সেই কথা, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। ভুটানের কোচের কথা মানছি আমি। হামজার সেট পিস থেকে গোল করা আমাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল। তার গোল আমাদের পরিকল্পনা সফল করেছে।’


জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকের প্রশংসা করলেন কাবরেরা। প্রশংসা করলেন ভুটানের কোচও, ‘আমি সাধারণত জোরে কথা বলি। কিন্তু আজ গ্যালারির আওয়াজে নিজের কথা নিজেই শুনতে পারছিলাম না। এটা স্বাভাবিক, হোম ম্যাচ। তবে দর্শক অসাধারণ ছিল। আমরা হারলেও ভালো ম্যাচ হয়েছে।

বাংলাদেশের একাদশে বুধবার দেখা গেল পাঁচ প্রবাসী ফুটবলারকে—হামজা চৌধুরী, জামাল ভূঁইয়া, কাজেম শাহ, ফাহামিদুল ইসলাম ও তারিক কাজী। এই একাদশ কিছুটা চমকপ্রদ—বিশেষ করে কাজেমের জায়গা পাওয়া, জামালের প্রত্যাবর্তন। এ নিয়ে কাবরেরার মন্তব্য, ‘এই লাইনআপে আমি সন্তুষ্ট। সবাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছে।’

বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে ফাহামিদুল ইসলামেরঅভিষিক্ত ফাহামিদুল ইসলাম আলোচনায় এসেছেন প্রথম ম্যাচেই। চোখে পড়ার মতো দৌড়, দু-তিনটি সাহসী শট। কিন্তু গোল পাননি। দ্বিতীয়ার্ধে কোচ তাঁকে তুলে নেন, তবে তাঁর খেলা নিয়ে কাবরেরা সন্তুষ্টই, ‘সে একটু নার্ভাস ছিল। স্বাভাবিক, প্রথম ম্যাচ। কিন্তু আমি তার খেলায় খুশি। ম্যাচ টাইম পেলে আরও ভালো করবে।’

১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে এই প্রস্তুতি কতটা কার্যকর? কাবরেরার সোজাসাপটা উত্তর, ‘খুব ভালো। মাঠের পরিবেশ অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। আমরা উপভোগ করেছি।

উপভোগ করেছেন কানাডাপ্রবাসী শমিত সোমও। শমিত ভোরে ঢাকায় এসে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ দেখেছেন। ১০ জুন তাঁর অভিষেক হওয়ার কথা। সেদিন মাঠে হামজা, শমিত, ফাহামিদুলের বাংলাদেশকে দেখতে হয়তো দর্শকের ঢল নামবে।

বাংলাদেশের দুই গোলদাতা সোহেল রানা ও হামজা চৌধুরী
তবে এই রাত পুরোপুরি নিখুঁত ছিল না। ম্যাচ চলাকালে মাঠে ঢুকে পড়ে দুজন দর্শক। ম্যাচ শেষে ঢুকেছে আরও একজন। আবারও সেই পুরোনো শঙ্কা—কোনো জরিমানা আসছে না তো? ম্যাচ শুরুর পর স্টেডিয়ামের বাইরে ফটক ভেঙে গ্যালারিতে ঢুকে পড়েছেন দর্শক। ঢাকা স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরেছে। কিন্তু ব্যবস্থাপনায় পুরোনো সেই রুগ্ণ ছবিটা রয়েই গেল। তবুও এ কথা বলতেই হয়—এই রাতে আলো ছিল, জয় ছিল, আর ছিল একজন—হামজা চৌধুরী।


Tuesday, June 3, 2025

সাভার পৌরসভার একমাত্র কুরবানির পশুর হাট উদ্বোধন করে

সাভার পৌরসভার একমাত্র কুরবানির পশুর হাট উদ্বোধন করে

 



আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাভার পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত একমাত্র কোরবানির পশুর হাট উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে গেন্ডা পুকুরপাড় বালুর মাঠ এলাকায় এ কোরবানির পশুর হাট ফিতা কেটে আনুষ্ঠা‌নিক উদ্বোধন করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাভার পৌর প্রশাসক মো: আবুবকর সরকার।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর ও সাভার পৌরসভা জনপ্রিয় মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি।

উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দরা পশুর হাটটি ঘুরে দেখেন। এ সময় হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান রাজু ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিবুর রহমান চম্পকসহ আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নির্বাচন ডিসেম্বরের পর নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই — সালাহউদ্দিন আহমদ।

নির্বাচন ডিসেম্বরের পর নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই — সালাহউদ্দিন আহমদ।

 


অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পর যাওয়ার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এ কথা বলেছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার শুরু উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এ বৈঠক হয়।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। আগেই জরুরি ভিত্তিতে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নির্বাচনমুখী, সে সংস্কারগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা ঐকমত্যের মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই, যেগুলো এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংশোধন যেগুলোর বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাবে সবাই একমত, সেগুলো অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

‘সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পর যাওয়ার মতো একটিও কারণ উল্লেখ করার মতো নেই,’ বলেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

সালাহউদ্দিন এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘এ বিষয়টা আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আবারও সে পন্থার প্রস্তাব দিয়েছি। আজকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে আমরা দেখলাম, ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য সবার প্রস্তাব আছে। প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আশা করি, তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে সে ভূমিকা পালন করবেন।’

সংস্কার নিয়ে মতৈক্যের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের আলাপ–আলোচনায় মনে হয়েছে, কিছু কিছু জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁরা একমত হওয়ার জন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। হয়তোবা আমরা জাতীয়ভাবে সব বিষয়ে একমত পোষণ করতে পারব না, এ–ই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু আমরা আলাপ-আলোচনা করব। কোথাও আমরা একমত হতে পারব, কোথাও আবার একমত হওয়ার কাছাকাছি আসতে পারব, এভাবেই একটি জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এ বৈঠকে বিএনপির নেতাদের মধ্যে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। আজকের এ বৈঠকের জন্য ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

প্যারোল না পেয়ে জেলগেটেই দূর থেকে মায়ের শেষবারের মতো দেখা নেন সাবেক এমপি।

প্যারোল না পেয়ে জেলগেটেই দূর থেকে মায়ের শেষবারের মতো দেখা নেন সাবেক এমপি।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক


মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি পাননি রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান। এ কারণে সোমবার রাত সোয়া আটটায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে দূর থেকে তাঁকে শেষবার মায়ের মুখ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

আসাদুজ্জামান সম্প্রতি কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের রাজশাহী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। গেল বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে তিনি গ্রেপ্তার হন। এখন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী।

আসাদুজ্জামানের মা সালেহা বেগম ৮০ বছর বয়সে সোমবার বিকেলে মারা যান। স্বজনেরা জানান, তাঁর মৃত্যুর পর বড় ছেলে আসাদুজ্জামানের প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তবে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কারাফটকে মৃত মায়ের মুখটি একনজর দেখার।

এ ব্যাপারে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান প্যারোলে মুক্তি পাননি। তাই মানবিক কারণে মরদেহটি অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলগেটে এনে দূর থেকে তাঁকে দেখানো হয়েছে।

প্যারোলের আবেদনের বিষয়ে জানার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মির্জা ইমাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি এডিএম (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) দেখে থাকেন। তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম ফোন ধরেননি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা সাত ভাই–বোন। এর মধ্যে পাঁচ ভাই সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আসাদুজ্জামান কারাগারে। অন্য চারভাইও আত্মগোপনে। এই চার ভাইও মায়ের মুখ দেখার সুযোগ পাননি। শুধু এসেছিলেন সালেহা বেগমের তৃতীয় সন্তান আক্তারুজ্জামান। তিনি কোনো রাজনীতিতে জড়াননি। জীবিকা নির্বাহ করেন প্রাইভেট কার চালিয়ে।

স্বজনেরা জানান, বিকেলে বাড়ি গিয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখেছেন আক্তারুজ্জামান। তবে নিরাপত্তার সংশয়ে তিনিও অংশ নিতে পারেননি মায়ের জানাজায়।

সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় রাজশাহী নগরের মহিষবাথান গোরস্তানের পাশে জানাজা শেষে সালেহা বেগমের লাশ দাফন করা হয়।


ভাড়ায় নেওয়া মোটরসাইকেলচালক ঢাকা থেকে নরসিংদীতে নিয়ে গিয়ে ওই নারীকে যৌন নির্যাতন করেন।

ভাড়ায় নেওয়া মোটরসাইকেলচালক ঢাকা থেকে নরসিংদীতে নিয়ে গিয়ে ওই নারীকে যৌন নির্যাতন করেন।

 



নিজস্ব প্রতিবেদক


ঢাকা থেকে অপহরণের পর নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে উদ্ধার হওয়া নারীটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। তিনি একটি বিউটি পারলারের কর্মী। গত ২৮ মে ঢাকার একটি জায়গা থেকে ভাড়ার মোটরসাইকেলে চড়ে আরেক জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পর তাঁকে অচেতন করে নরসিংদীতে নেওয়া হয়। ওই নারীকে নরসিংদীর ঘোড়াশালের একটি সেতুর কাছে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তাঁর স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকাও আদায় করে অপরাধী চক্র।

এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে মো. শাহ পরান (৩০) নামের ওই মোটরসাইকেলচালককে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল রোববার শাহ পরান এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবাবন্দি দিয়েছেন বলে নরসিংদীর পুলিশ জানিয়েছে।

২৮ মে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঢাকা থেকে অপহরণের সাত ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াশাল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, বেলা তিনটার দিকে তাঁর ভাগনিকে ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে তাঁর কাছে টাকা চাচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের কাছে ২ হাজার ৫০০ টাকা পাঠিয়েছেন। ওই ব্যক্তি তাঁর ভাগনিকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর নরসিংদীর পলাশ থানার পুলিশ ঘোড়াশাল কালভার্ট ব্রিজের কাছ থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে।

নরসিংদী জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অপহৃত নারীকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। পরে ওই নারী বাদী হয়ে পলাশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা নরসিংদী জেলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদীর পুলিশ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত শাহ পরানের অবস্থান নিশ্চিত হয় এবং শনিবার রাতে কেরানীগঞ্জের বটতলীর দক্ষিণপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

 জিজ্ঞাসবাদে শাহ পরান অপহরণ ও ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গতকাল আদালতে জবানবন্দি দেন। আদালত জবানবন্দি নিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে শাহ পরান পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেন, সৌদি আরবে থাকার পর সম্প্রতি তিনি দেশে ফেরেন এবং রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেল চালাতেন। তাঁর বাড়ি কেরানীগঞ্জের দক্ষিণপাড়ায়। সেখানে তাঁর দুই স্ত্রী থাকেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীটির ভাষ্য অনুযায়ী শাহ পরান তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং শাহ পরানের দুই সহযোগী ওই নারীর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।

পলাশ থানায় ওই নারীর করা মামলায় বলা হয়, ২৮ মে বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর থেকে তিনি চিকিৎসক দেখানোর জন্য রাইড শেয়ারিংয়ের একটি মোটরসাইকেলে নগরীর শ্যামলীর উদ্দেশে রওনা দেন। মিরপুর ১০ নম্বর পার হওয়ার পর তিনি কিছু মনে করতে পারছিলেন না। ওই দিন রাত ৯টার দিকে ঘোড়াশালের কালভার্ট ব্রিজে পৌঁছানোর পর তিনি স্বাভাবিক হন এবং দেখতে পান মোটরসাইকেলের চালক তাঁকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ধাক্কা মেরে রাস্তার নিচে ফেলে দেন। এ সময় মোটরসাইকেলচালকের অপর দুই বন্ধু আরেকটি মোটরসাইকেলে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলের চালক তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁর দুই বন্ধু ওই নারীর মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে থাকা তিন হাজার টাকা তাঁদের নম্বরে স্থানান্তর করে মোটরসাইকেল করে চলে যান।

শাহ পরানের দুই বন্ধুকে খোঁজা হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।

২০২৫ সালে নোবেলসহ দশটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার থেকে পাওয়া অর্থ করমুক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।

২০২৫ সালে নোবেলসহ দশটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার থেকে পাওয়া অর্থ করমুক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।

 



অনলাইন ডেস্ক


নোবেল পুরস্কারের অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে। এর পাশাপাশি মোট ১০ ধরনের পুরস্কার অর্থকে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশি কোনো করদাতা এসব পুরস্কারের অর্থ মোট আয় থেকে বাদ দিতে পারবে। বাজেটে এই কর মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নোবেল পুরস্কার ছাড়া অন্য পুরস্কারগুলো হলো র‍্যামন ম্যাগসাইসাই, বুকার, পুলিৎজার, সাইমন বলিভার, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, গ্রামি, এমি, গোল্ডেন গ্লোব, কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পান। এ ছাড়া আরও কয়েকজন র‍্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন।

আয়কর আইনের ষষ্ঠ তফসিলে কোন কোন খাতের আয়কে মোট আয় পরগনা থেকে দেওয়া হবে, তা বলা আছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সেখানে সংশোধন করে এসব পুরস্কারের অর্থকে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়।

বিদ্যমান আয়কর আইন অনুসারে, বিদেশ থেকে কোনো আয় যদি রেমিট্যান্সের শর্ত মেনে দেশে আনা হয়, তাহলে তা করমুক্ত। কিন্তু আলোচ্য বিদেশি পুরস্কার কেউ যদি পান, তাহলে পুরস্কারের অর্থ কীভাবে আয়করের আওতায় আসবে কিংবা করমুক্ত থাকবে কি না, পরিষ্কার বলা নেই।


Monday, June 2, 2025

সাভারের ভুয়া পুলিশের এসবি পরিচয়ে এক প্রতারক গ্রেপ্তার

সাভারের ভুয়া পুলিশের এসবি পরিচয়ে এক প্রতারক গ্রেপ্তার

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

সাভারে পুলিশের স্পেশাল ব্যাঞ্চ (এসবি) পরিচয়ে এক দোকানীকে ভুয়া ওরেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে সোহান (২৮) নামে এক প্রতারক। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সাভার মডেল থানায় মামলা হলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার রাজাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার সোহান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের শুক্কুর আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে রাজফুলবাড়িয়ার রাজাঘাট এলাকায় দোকানী সাইফুল ইসলামকে মাদককারবারি আখ্যা দিয়ে পুলিশের এসবি পরিচয় দিয়ে ভুয়া ওরেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করতে যায় প্রতারক সোহান ও ভাড়াটে গাড়ির ড্রাইভার হাসনাত।

পরে বিষয়টি ওই হোটেল ব্যবসায়ীর সন্দেহ হলে তিনি এলাকাবাসীকে খবর দিলে তারা এক জোট হয়ে তাদেরকে আটক করে। এ সময় সোহান ভুয়া এসবির আইডি কার্ডও দেখান যে তারা এসবির লোক।

পরে এলাকাবাসী সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িসহ সোহানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে আটকের সময় ভুয়া এসবি পরিচয়দানকরী প্রতারক সোহান পুলিশের সামনেই এলাকাবাসীদের হত্যা করার হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। এলাকাবাসী আরো জানান, ওই ভুয়া এসবি কর্মকর্তা রাজফুলবাড়িয়ার পুলিশ টাউনে ভাড়া থেকে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল। তাদের চাঁদাবাজি আর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছিল। এর আগেও তারা রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় এসবির পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করেছিল বলেও বলেন তারা।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের এবং আসামি সোহানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।