Saturday, October 4, 2025

সাভারের হানি ট্রাপের শিকার ভিকটিম উদ্ধার করে  জড়িত নারীসহ ৪ জনকে আটক

সাভারের হানি ট্রাপের শিকার ভিকটিম উদ্ধার করে জড়িত নারীসহ ৪ জনকে আটক

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

সাভারের হানি ট্র্যাপে ফেলে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ইন্সপেক্টর মোঃ মেহেদী হাসানকে অপহরণ করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।পরবর্তীতে হানি ট্রাপে শিকার এসআইমেহেদী হাসান’কে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত নারী সদস্যসহ চারজন’ কে আটক করা হয়।সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)জুয়েল মিয়ার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন,তাছাড়া এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হয়।বৃহস্পতিবার (২ই অক্টোবর ২০২৫ইং)বিকেল আনুমানিক ৪:৩০ মিনিট সময়ের দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মিনি চিড়িয়াখানার সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে পরিকল্পনা বিভাগের ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসানকে অপহরণ করে চক্রের সদস্যরা।

এসময় অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে ৫ লক্ষ্য টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরনকারীর সদস্যরা।অপহরণের ঘটনার বিষয়টি তার পরিবার জানার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে সাভার মডেল থানার একটি টিম অভিযান শুরু করে।তবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টানা ২০ ঘণ্টার অভিযানে(৩ই অক্টোবর ২০২৫ইং)দুপুর আনুমানিক দেরঘটিকার সময়ের দিকে সাভারের জামশিং এলাকা থেকে অপহরণের শিকার এসআই মেহেদী হাসান’কে উদ্ধার করতে সক্ষম হন সাভার মডেল থানার পুলিশ।এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত অপহরণকারীর নারী সদস্যসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।আটককৃতরা হলেন শরিফুল (২৫),মোঃ জয়নাল(২৫),সকাল আনমনা(১৯)ও মোঃ কাওসার হোসেন কনক(২০)।এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি লেগুনা গাড়ি জব্দ করা হয়।এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন,এরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।দীর্ঘদিন ধরে সাভার ও আশুলিয়ায় হানি ট্র্যাপসহ বিভিন্নভাবে মানুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করে আসছিল।তাছাড়া এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।এছাড়াওআটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

Monday, September 22, 2025

সাভারের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন,  চারজনকে গ্রেফতার করে

সাভারের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, চারজনকে গ্রেফতার করে

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ

ঢাকার সাভারে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর এর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিং করেন সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির বলেন, সাভারের হেমায়েতপুরে গত বছরের ৩ আগস্ট এমই বিডি টেক নামের কারখানায় একদল ডাকাত হানা দেয়।

এসময় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী রিমন হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ডাকাতরা। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর পুলিশ নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করলেও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।

পরে দীর্ঘ তদন্তের পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঘাতক মানিক মোল্লাকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে শনিবার গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী ভোলা সরকার ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফুল ইসলাম ও হৃদয় আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার দুপুরে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা'সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে মূলত হত্যাকারীরা ঐ কারখানায় হানা দেয় এবং নিরাপত্তাকর্মীর বাঁধায় ডাকাতি করতে না পেরে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

Friday, September 19, 2025

সাভার পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডে শহীদ জিয়া সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা

সাভার পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডে শহীদ জিয়া সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

সাভারে শহীদ জিয়া সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাভার পৌরসভার উত্তর রাজাশন এলাকায় এ পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শহীদ জিয়া সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিল্লাল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাভার পৌরসভা মেয়র প্রার্থী লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে লায়ন খোরশেদ আলম বলেন, নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে বিএনপি যেন ক্ষমতায় যেতে না পারে সেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গভীর চিন্তাশীল ও বিচক্ষণ নেতা। তিনি সব ষড়যন্ত্র ভেদ করেই দেশে ফিরবেন। আর তিনি দেশে ফিরলে বিএনপির পক্ষে গণজাগরণ সৃষ্টি হবে।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমি সাভারের মানুষের মন জয় করেই ভোট নিবো ইনশাল্লাহ। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমি সাভার পৌরসভাকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও ছিনতাই মুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন সুন্দর বসবাস যোগ্য সাভার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শহীদ জিয়া সামাজিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ এনামুল করিব (মিন্টু)। বিশেষ অতিথি সাভার পৌর ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মোল্লা। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মনিবুর রহমান চম্পক, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়ার রহমান উজ্জ্বল, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রাশেদুজ্জামান বাচ্চু, পাথালিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি হযরত আলী, পৌর বিএনপি নেতা খান মজলিশ বাবু ও পৌর ছাত্রদল নেতা তাজ খান নাঈমসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Thursday, September 18, 2025

আশুলিয়ায় বিএনপি'র দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত হয় ৬জন

আশুলিয়ায় বিএনপি'র দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত হয় ৬জন

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

 সাভার ও আশুলিয়ায় বিএনপি’র দুই গ্রুপে মারামারি ও সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে আশুলিয়ার মোজারমিল এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই এলাকার ব্রিটিশ টোবাকো কারখানায় বালু ফেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মণ্ডল ও আশুলিয়া থানাধীন ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জহির গ্রুপ হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় গ্রুপের অন্তত ছয় জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুরসহ আশেপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মিয়া বলেন, ধামসোনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ দেয়ানের অফিসে ভাঙচুর করা হয়। তবে বিএনপি'র অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে প্রচার করে একটি পক্ষ। বাস্তবে সেখানে বিএনপি’র কোন অফিস নেই। এবিষয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবীর বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Monday, September 15, 2025

সাভারের বিএনপির নেতা খোরশেদ আলমের মধ্যস্থতায় গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান হয়

সাভারের বিএনপির নেতা খোরশেদ আলমের মধ্যস্থতায় গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান হয়

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

ঢাকার সাভারে উরি ফ্যাশন গার্মেন্টস মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকদের বেতন বোনাস নিয়ে অসন্তোষও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মালিক পক্ষের অনুরোধে বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বারবার নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ খোরশেদ আলমের মধ্যস্থতায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান পরে শ্রমিকদের আনন্দ মিছিল। বিকেলে সাভার পৌর আড়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত উরি ফ্যাশন গার্মেন্টসের কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক আনন্দ মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমের নিস বাসভবনে উপস্থিত হয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে, মোঃ খোরশেদ আলম তার বাসভবনে আগত শ্রমিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি উপস্থিত সবাইকে ফুলের তোরা ও মিষ্টি খাইয়ে অভিনন্দন জানান। উরি ফ্যাশন গার্মেন্টস মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকদের দীর্ঘদিন ধরে চলা অসন্তোষ বেতন বোনাস নিয়ে গতকালকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় পরে মালিকপক্ষের অনুরোধে মোঃ খোরশেদ আলম উরি ফ্যাশন আসেন এবং তার মধ্যস্থতা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার ভূমিকায় শ্রমিকরা তার কথায় পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন।

তিনি মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষকে এক টেবিলে বসিয়ে শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করেন।তার এই উদ্যোগের ফলে“মালিক ও শ্রমিক উভয়ের সার্থে সমস্যা সমাধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক শ্রমিক নেতা জানান, বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম এর চেষ্টা আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই মধ্যস্থতা শুধুমাত্র শ্রমিক ও মালিকের সমস্যা সমাধানেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি সাভারের শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধের প্রসার ঘটিয়েছে। তার উদ্যোগ স্থানীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা বহন করছে এবং সমাজে সহযোগিতা ও একতা প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

Thursday, September 11, 2025

ডাকসুর ফলাফল কি ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য বার্তা

ডাকসুর ফলাফল কি ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য বার্তা

 


বিশেষ প্রতিনিধি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এক ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। 

এ বিজয়ে জামায়াতের রাজনীতিতে বা আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এ নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। 

নির্বাচনে ভিপি, জিএস, এজিএসের পাশাপাশি ডাকসুর ২৮টি পদের মধ্যে ২৩টিতে ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হন। 

অন্যদিকে এ নির্বাচনে বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে, যা বিএনপির নেতৃত্বকে বিব্রত করেছে।

এখন ভোটের পর ফলাফল ধরে সব মহলেই নানামুখী বিচার-বিশ্লেষণ হচ্ছে যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থীরা এত খারাপ করলেন কেন আর ছাত্রশিবির এত বড় বিজয় পেল কীভাবে।

এ বিষয়ে বুধবার বিএনপি ও জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পাঁচজন নেতাসহ বিভিন্ন দলের নয়জন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁদের নানা রকম পর্যবেক্ষণ রয়েছে। পাশাপাশি ডাকসুর ফলাফলকে ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য বার্তা হিসেবেও দেখছেন তাঁরা।

বিএনপির নেতারা ডাকসু নির্বাচনে নিজেদের দুর্বলতা যেমন দেখেন, তেমনি প্রতিপক্ষ, অর্থাৎ বিজয়ীদের কৌশলও দেখেন।

 তাঁরা মনে করেন, ছাত্রশিবির যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন করেছে। সে ধরনের প্রস্তুতিতে ছাত্রদলের যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। ডাকসুতে ও হলে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না।

বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৫-১৬ বছর ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সংগঠন করতে পারেনি। অন্যদিকে ছাত্রশিবির পরিচয় গোপন করে অথবা ছাত্রলীগের পরিচয় ধারণ করে ক্যাম্পাসে ছিল।

বিএনপি নেতাদের অনেকে মনে করেন, ছাত্রশিবির নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সমর্থন পেয়েছে। না হয় তারা এত ভোট পেল কীভাবে, সে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। 

নির্বাচনে বিপুল অর্থ ব্যয়ের কথাও বলছেন কেউ কেউ। তবে নির্বাচনে ছাত্রদল যে খুব ভালো করবে না, সেটা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব আগেই কিছুটা আঁচ করেছিলেন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে স্থায়ী কমিটির সভায় ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নেতারা আলোচনা করেন। সেখানে ছাত্রদল যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেশ পিছিয়ে, তা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অবহিত হন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জানামতে, ছাত্রশিবির নামে কোনো সংগঠন ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা ভিন্ন নামে বা মোর্চায় অংশ নিয়েছে।

এখন তারা নিজস্ব ক্যাপাসিটিতে, নাকি ছাত্রলীগের ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে, সেটা অ্যানালাইসিস করে আমাদের বের করে দেখতে হবে। তবু গণতন্ত্রের এই যাত্রায় আমরা বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাই।’

জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে?

এদিকে প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। 

দলটির নেতারা বলছেন, ছাত্রশিবিরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোটের এত ব্যবধান হবে, সেটা তাঁরা ভাবেননি। 

বিশেষ করে ছাত্রীদের এত ভোট পাওয়া তাঁদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল। নির্বাচনের এই ফলাফল জাতীয় নির্বাচনেও নিশ্চিত প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন জামায়াতের নেতারা। 

তাঁদের মতে, এই নির্বাচনে রাজনীতিবিদদের জন্য একধরনের সতর্কবাণী এবং দিকনির্দেশনাও আছে। সেটি হচ্ছে পুরোনো রাজনৈতিক চর্চা আর গ্রহণযোগ্য হবে না।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমান যুবসমাজ ও ছাত্রসমাজ নীতিহীন ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরুদ্ধে। 

তারা পুরোনো রাজনৈতিক চর্চা পছন্দ করছে না। তারা গঠনমূলক, মেধাভিত্তিক, একাডেমিক রাজনীতি চায়। 

তারা বাংলাদেশে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন চায়। ডাকসুর নির্বাচনে ছাত্ররা রাজনৈতিক দলগুলোকে সেই বার্তাই দিয়েছে বলে আমরা মনে করি।’

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ডাকসু নির্বাচনকে দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা করে জামায়াত। 

এর জন্য দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটের দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা পুরানা পল্টনে জামায়াতের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে থেকে নির্বাচন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখেন।

ফল ঘোষণার সময় সিনেট ভবনে উল্লসিত ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ ও মুহা. মহিউদ্দীন খান (বাঁ থেকে)। তাঁরা ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

ফল ঘোষণার সময় সিনেট ভবনে উল্লসিত ছাত্রশিবিরের সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ ও মুহা. মহিউদ্দীন খান (বাঁ থেকে)। তাঁরা ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

জেন–জিদের ভাবনার প্রতিফলন

এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রশাসনিক কারসাজিসহ নানা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন,‘ গণ-অভ্যুত্থান-উত্তর তরুণ প্রজন্ম কী চিন্তাচেতনায় কোন দিকে এগোচ্ছে, সেটাকে বিবেচনা করে আমাদের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিতে হবে।’

অবশ্য এবারের ডাকসুর নির্বাচনকে একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর ‘চমৎকার’ নির্বাচন বলছে প্রায় সব রাজনৈতিক দল। সে কারণে অনেকে মনে করেন, মতের ভিন্নতা থাকলেও সবার উচিত অতীত সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানানো।
এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রথম আলোকে বলেন, ভোট সুষ্ঠু হয়নি, গণনায় কারচুপি হয়েছে; এটা বলা যাবে না। ফলাফল মানতে হবে, সবার মানা উচিত।

তবে এই নির্বাচনে তরুণেরা, যাঁদের ‘জেন–জি’ বলা হয়, তাঁরা রাজনীতি ও রাষ্ট্র নিয়ে কী ভাবছেন, তার একটি প্রতিফলন ঘটেছে, যা রাজনৈতিক দলগুলো বিবেচনায় নেয়নি বলে মনে করেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

ফ্যাসিবাদী শাসনের ফল

রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের অনেকে মনে করছেন, ছাত্রশিবিরের বিরাট বিজয় বিগত সময়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের ফল। আওয়ামী লীগ তার দীর্ঘ শাসনামলে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ও গুপ্তসংগঠনে পরিণত করেছিল। এই সুযোগে তারা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে সংগঠন শক্তিশালী করেছে। ছাত্রলীগ সাজার কৌশলও অবলম্বন করেছিল।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ ও রাজাকারের বিভাজন দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। তাদের ফ্যাসিবাদী শাসন জামায়াতকে দিয়ে জায়েজ করতে চেয়েছে। তখন কার্যত জামায়াত নিষিদ্ধ সংগঠন ছিল। একদিকে তারা নিপীড়িত হিসেবে সহানুভূতির জায়গা পেয়েছে, অন্যদিকে অপ্রকাশ্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে। এখন সেটার সুবিধা তাদের কাছে গেছে।

ডাকসু নির্বাচনে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের একাংশের গড়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতারাও খুব কম ভোট পেয়েছে। কেন এমন হলো, তা নিয়েও নানা আলোচনা চলছে। অনেকে বলছেন, গত এক বছরে নানা বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কেউ কেউ সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সে জায়গায় ছাত্রশিবির ছিল নমনীয় ও সতর্ক। যার ফলশ্রুতিতে আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর ফল তুলে নিয়েছে ছাত্রশিবির।

সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ নামে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনও ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এটি চরমোনাইয়ের পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের ছাত্রসংগঠন। ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ নির্বাচনে জুলাই চেতনার সঠিক প্রতিফলন হয়েছে। আমরা আশা করি, বিজয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

সতর্কতার বার্তা নির্বাচনে

ছাত্রদলের খারাপ ফলাফলের বিষয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হকের পর্যবেক্ষণ ভিন্ন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের প্রতি যে আবেগ, ছাত্রদল সেটা ধরতে পারেনি। তারা ছাত্রলীগের পুরোনো বয়ান (মুক্তিযুদ্ধে পক্ষ-বিপক্ষ) নিয়ে হাজির হয়েছে। কিন্তু এ প্রজন্ম কাউকে রাজাকার গালি আর শুনতে চায় না। তারা গঠনমূলক রাজনীতি, মেধাভিত্তিক রাজনীতির চর্চা চায়। ছাত্রদল এই পুরোনো ধারা থেকে বের হতে না পারলে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যেতে পারে।

ডাকসু নির্বাচনের এই ফলাফল ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য একটা বার্তা বলেও মনে করছেন রাজনীতিকদের কেউ কেউ। তাঁদের মতে, এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার বিষয় আছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতে, ‘এই নির্বাচন থেকে ভবিষ্যৎ পথচলার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা যাচাইয়ের সুযোগও হলো।

ডাকসুতে জয় পেলেন সাত নারী

ডাকসুতে জয় পেলেন সাত নারী

 


উপরে বাঁ থেকে সানজিদা আহমেদ তন্বি (স্বতন্ত্র), ফাতেমা তাসনিম জুমা (শিবিরের প্যানেল), উম্মে ছালমা (শিবিরের প্যানেল); নিচে বাঁ থেকে সাবিকুন নাহার তামান্না (শিবিরের প্যানেল), মোছা. আফসানা আক্তার (শিবিরের প্যানেল), হেমা চাকমা (প্রতিরোধ পর্ষদ), উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া (স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে ৭ নারী শিক্ষার্থী জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৩টি পদে জিতেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। আর ১৩টি সদস্য পদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীরা জিতেছেন ৪টি পদে।

ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটারের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪। ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৫৩ জন নারী ভোট দিয়েছেন। ভোট গ্রহণের হার ৭৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

ভোট গ্রহণ হয়েছে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। ডাকসু (২৮টি পদ) ও হল সংসদ (১৩টি) মিলিয়ে নির্বাচনে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৬২ জন নারী প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০৫।

এ ছাড়া হল সংসদ নির্বাচনে পাঁচ ছাত্রী হল সংসদে ৬৫টি পদে প্রার্থী ছিলেন ১৮৫ জন নারী। ডাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে জয়ী হয়েছেন ৭২ জন নারী।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। আজ বুধবার সকালে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ডাকসুর মোট ২৮টি পদের ২৩টিতেই জিতেছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—শীর্ষ এই তিন পদেই জিতেছে শিবিরের প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। এই তিন পদে নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ী হতে পারেননি।

সম্পাদকীয় পদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সানজিদা আহমেদ তন্বি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১১ হাজার ৭৭৮। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে ছাত্রদলসহ কয়েকটি প্যানেল এই পদে প্রার্থী দেয়নি। তাঁর সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে শিবিরের প্রার্থীর। শিবিরের প্রার্থী মো. সাজ্জাদ হোসাইন খান ৭ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে শিবিরের প্যানেলের প্রার্থী ফাতেমা তাসনিম জুমা ১০ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭০ ভোট। কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে শিবিরের প্যানেলের প্রার্থী উম্মে ছালমা জয়ী হয়েছেন। ৪ হাজার ৪৮২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সুর্মী চাকমা।

সদস্য পদে জয়ী ৪ নারী হলেন শিবির প্যানেলের সাবিকুন নাহার তামান্না (১০ হাজার ৮৪ ভোট) ও মোছা. আফসানা আক্তার (৫ হাজার ৭৪৭ ভোট), প্রতিরোধ পর্ষদের হেমা চাকমা (৪ হাজার ৯০৮ ভোট) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া (৪ হাজার ২০৯ ভোট)।

এবার ডাকসুতে ৪৭১ প্রার্থীর মধ্যে নারী ছিলেন ৬২ জন, যা মোট প্রার্থীর ১৩ শতাংশ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থী ছিলেন ১৮ জন, যা মোট প্রার্থীর মাত্র ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। তাঁদের মধ্যে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। আর পাঁচ ছাত্রী হল সংসদে ৬৫টি পদে প্রার্থী ছিলেন ১৮৫ জন। এর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছিলেন ১৪ জন।

ডাকসু নির্বাচনে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত বামপন্থী সাতটি সংগঠনের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’–এর প্রার্থী হেমা চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনে জিতব ভাবিনি। মুক্তিযুদ্ধে চাকমাদের অবদান নেই, এমন বক্তব্যের সমালোচনা বা প্রতিবাদ করতে গিয়ে পরবর্তী সময়ে আমার বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু হয়। শিবিরের প্যানেলের এক প্রার্থী পাহাড়িদের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালিয়েছিলেন। এর সমালোচনা করে আমি সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। এরপর আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়, আর সাইবারজগতে প্রতিনিয়ত বুলিংয়ের শিকার হয়েছি।’

নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে জয়ী জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি গতকাল ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ভোটারদের আস্থার মর্যাদা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা তিনি করবেন।