Monday, December 22, 2025

ধামরাই মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ

ধামরাই মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ

 



জাহিদুল ইসলাম জিতু ধামরাই প্রতিনিধি

ঢাকার ধামরাই পৌরসভার দক্ষিণ পাড়া এলাকায় শ্বাসরোধে জোৎস্না রানী সরকার নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে।  রবিবার রাতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নিহতের ছেলে মানিক মিয়া মায়ের পাশে বসে কান্নাকাটি করছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধামরাই সরকারি কলেজের পশ্চিম পাশে দক্ষিণ পাড়া এলাকায় বসবাস করতেন জোৎস্না রানী সরকার। তিনি ওই এলাকার বিদু সরকারের স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।  সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত জোৎস্না রানী সরকার ছেলে মানিকের সঙ্গে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রায় সময়ই ছেলের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হতো। পরিবারের অভিযোগ, মানিক মিয়া মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন এবং নিয়মিত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতেন না। রবিবার কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মানিক মিয়া মায়ের গলা চেপে ও মুখে হাত দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পর আশপাশের লোকজন জোৎস্না রানী সরকারকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে লক্ষ্মী রানী মজুমদার ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ এলাকা থেকেই মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।  এ বিষয়ে মানিকের স্ত্রী শেফালী রানী বলেন, “আমার পাঁচ মাস বয়সের একটি ছোট বাচ্চা আছে। তাকে দেখাশোনা করার মতো কেউ না থাকায় আমি বাচ্চাকে নিয়ে বাপের বাড়িতে মায়ের কাছে রেখে ধামরাই ঢুলিভিটা স্নোটেক্স গার্মেন্টসে চাকরি করি। তাই বাড়িতে শাশুড়ির সঙ্গে কী হয়েছে, তা আমি জানি না। ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। রাতেই অভিযান চালিয়ে মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মায়ের মুখ চেপে ধরার কথা স্বীকার করেছেন। আসামিকে আদালতে পাঠায়নো হয়েছে।

Sunday, December 21, 2025

আশুলিয়ায় ৫০৮ লিটার চোলাই মদসহ এক জনকে গ্রেপ্তার ডিবি পুলিশ

আশুলিয়ায় ৫০৮ লিটার চোলাই মদসহ এক জনকে গ্রেপ্তার ডিবি পুলিশ

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

সাভারের আশুলিয়া থেকে ৫০৮ লিটার চোলাই মদসহ পেশাদার কারবারি সুখেন চাকমাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলাম। এর আগে, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার বুড়ির বাজার বাগানবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে ওই এলাকার আজিজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। সুখেন চাকমা (৩০) রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানার নবপেরাছড়া এলাকার কালাঠেঙার ছেলে। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার বুড়ির বাজার বাগানবাড়ি এলাকায় এসআই মোঃ মতিউর রহমান ও তার সঙ্গীয় ফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একজন পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ৫০৮ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। ডিবি উত্তরের অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সুখেন চাকমা স্বীকার করেছেন, সে একজন পেশাদার মাদক কারবারি এবং দীর্ঘদিন ধরেই চোলাই মদের কারবার করছিল। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

সাভারের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে

সাভারের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

সাভার উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে সাভার মডেল থানার সামনে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, সরকারি দপ্তরে দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহের সময় পেশাদার সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। হামলার পর উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলা। এর তীব্র নিন্দা জানাই। বক্তারা আরও বলেন, সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের ওপর হামলা-মামলা সত্যকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা। গণমাধ্যম কর্মীদের কন্ঠরোধ করতেই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সাংবাদিক নির্যাতনের এমন ঘটনা সহ্য করা হবে না। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ব্যর্থতা তুলে ধরা হয় মানববন্ধন থেকে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাভার প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও জিটিভির প্রতিবেদক আজিম উদ্দিন, সাভার উপজেলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এসএ টিভির প্রতিবেদক সাদ্দাম হোসেন, টিআরসি'র যুগ্ম-আহ্বায়ক ও এখন টিভির হুমায়ুন কবির, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও গ্লোবাল টিভির তোফায়েল হোসেন তোফাসানি, ধামরাই প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হোসেন সৌকত, ধামরাই রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আদনান হোসেন, আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী মানু, সাভার প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক লোটন আচার্য্য, বাংলা টিভির আশুলিয়া প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন নিরব, ধামরাই প্রতিনিধি হুমায়ুন রশিদ, নাগরিক টিভির মাহিদুল মাহি, ৭১ টিভির জাহিদ হাসান অনিক, জনকণ্ঠের সাভার প্রতিনিধি অঙ্গন সাহা, ধামরাই প্রতিনিধি সোহেল রানা, মানবকন্ঠের ওমর ফারুক, মুভি বাংলা টিভির স্টাফ রিপোর্টার দিদারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি বিডি নিউজ ২৪,ডেইলি সানের মেহেদী হাসান মানিক, আগামীর সংবাদের আব্দুস সালাম রুবেল, মুভি বাংলা টিভির লিজা খান, শীর্ষ নিউজের রেদওয়ান হাসান, কাজী সাইফুদ্দিন, জাকির হোসেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সাভার মডেল থানার সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান আলীর কাছে মিথ্যা মামলার বিষয়ে জবাবদিহিতা ও বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এসময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অর্ধশত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর সাভারের আলমনগরে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে যান দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি দেওয়ান ইমন, বিজয় টিভির শরীফ শেখ ও চ্যানেল এস এর প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলাম । এ সময় সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা ও হামলা করেন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার এএসএম শাহীন, পেশকার শফিক ও সাইফুল ইসলাম। পরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই উল্টো সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে তুলে মামলা দায়ের করেন সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার।

হাদি হত্যাকাণ্ড আইপি ট্র্যাকিংয়ে মিলল অবস্থান অভিযুক্ত ফয়সালের

হাদি হত্যাকাণ্ড আইপি ট্র্যাকিংয়ে মিলল অবস্থান অভিযুক্ত ফয়সালের

 


অনলাইন ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যায়। সর্বশেষ গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সে বর্তমানে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে অবস্থান করছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গুলি চালানোর ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ফয়সাল দেশ ত্যাগ করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ আলামতও সে গোপন বা সরিয়ে ফেলে।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া শুটার ফিলিপের দুই সহযোগীর জবানবন্দিতে জানা গেছে, ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে ফয়সাল ও তার এক সহযোগী ভারতে পালিয়ে যায়।

সময় টিভির কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফয়সালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, বুধবার তার অবস্থান ছিল ভারতের মহারাষ্ট্রে। সেখানে সে ভারতের রিলায়েন্স কোম্পানির একটি মোবাইল সংযোগ ব্যবহার করে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই আসামি এখনো পলাতক থাকলেও তদন্তে পুরো ঘটনার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত জুলাই মাসে দেশে ফিরে ফয়সাল করিম মাসুদ কবির, কামাল, রুবেল ও মাইনুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ‘কিলিং মিশন’ শুরু করে। তদন্তে জানা গেছে, তারা সবাই বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতা।

যেভাবে পরিচালিত হয় ‘কিলিং মিশন’

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ ডিসেম্বর রাত ৮টা ১৮ মিনিটে ফয়সাল ও তার সহযোগী কবির বাংলামোটরের ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে যান। প্রায় ছয় মিনিটের ওই সাক্ষাৎ ছিল হাদির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রথম ধাপ। সেখানে ফয়সাল হাদির সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেয়।

এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতে ফয়সাল আবার ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে আসে। এ সময় কবির তার সঙ্গে না থাকলেও নতুন সহযোগী হিসেবে আলমগীর উপস্থিত ছিল। ওই বৈঠকে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে হাদির ঘনিষ্ঠ বৃত্তে প্রবেশ করে ফয়সাল।

পরদিন ১২ ডিসেম্বর সেগুনবাগিচায় হাদির নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি অংশ নেয় ফয়সাল। সেদিনই সে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নরসিংদী, সাভার ও মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় আগাম নজরদারি চালানো হয়।

মিশনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১ ডিসেম্বর ফয়সাল পশ্চিম আগারগাঁওয়ে তার বোনের বাসায় ওঠে। হামলার দিন ভোরে উবারে করে সে হেমায়েতপুরের একটি রিসোর্টে যায়।

রিসোর্টের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার ভোর ৫টা ২২ মিনিটে ফয়সাল ও আলমগীরের গাড়ি গ্রিন জোন রিসোর্টে প্রবেশ করে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া ও তার বোন। সেখানে হাদির একটি ভিডিও দেখিয়ে ফয়সাল জানায়, সে হাদির মাথায় গুলি করার পরিকল্পনা করেছে এবং এতে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হবে। ঘটনার পর তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশও দেয় সে।

পরে উবারে করে বান্ধবীকে বাড্ডায় নামিয়ে দেয় ফয়সাল। সকাল ১১টা ৫ মিনিটে আগারগাঁওয়ের বাসা থেকে মোটরসাইকেলে বের হয় ফয়সাল ও আলমগীর। তারা সরাসরি সেগুনবাগিচায় হাদির প্রচারণাস্থলে পৌঁছায় সকাল পৌনে ১২টার দিকে।

প্রচারণা শেষে দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে হাদি মতিঝিলের উদ্দেশে রওনা হলে ফয়সাল ও আলমগীর পেছন থেকে তার অটোরিকশা অনুসরণ করে। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হাদিকে বহনকারী অটোরিকশা মতিঝিলের জামিয়া দারুল উলুম মসজিদের সামনে পৌঁছায়। সেখানে আলমগীর মোটরসাইকেল পার্ক করে এবং দুজনই পুনরায় প্রচারণায় যুক্ত হয়।

হাদি ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ শেষে প্রচারণা চালান। দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে সেখান থেকে রওনা হলে ফয়সাল ও তার সহযোগীরা আবারও পিছু নেয়। মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে দৈনিক বাংলা মোড় ঘুরে তারা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে প্রবেশ করে।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা উপযুক্ত স্থান খুঁজে নেওয়ার পর দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে খুব কাছ থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি ছোড়ে ফয়সাল।

ধামরাইয়ে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ মোজো খেয়ে ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে

ধামরাইয়ে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ মোজো খেয়ে ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে

 


জাহিদুল ইসলাম জিতু ধামরাই প্রতিনিধি

ধামরাইয়ের সূতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামে বিলটুর দোকান থেকে কেনা মোজো পানীয় পান করে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে বোতলের গায়ে দেখা যায়, এই পানীয়র মেয়াদ প্রায় এক বছর আগেই শেষ হয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি দোকান দার কে জানাতে গেলে, তার স্ত্রী উল্টো গালাগালি করে অভিযোগকারীদের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখান। এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করা এবং অসুস্থ মানুষের প্রতি অশালীন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধে গ্রামে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ পুলিশ/ভোক্তা অধিকার অভিযান চালানোর প্রয়োজন রয়েছে।

Saturday, December 20, 2025

চার  মাসে সাভার  পৌর কমিউনিটি সেন্টার থেকে মিলল তিনজনের লাশ

চার মাসে সাভার পৌর কমিউনিটি সেন্টার থেকে মিলল তিনজনের লাশ

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি :

সাভার পৌর কমিউনিটি সেন্টার থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির আগুনে পোড়া ও অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সাড়ে তিন মাসে ওই কমিউনিটি সেন্টারের ভেতর থেকে মিলল এক নারীসহ তিন জনের লাশ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে থানা রোড়ের পরিত্যক্ত সাভার পৌর কমিউনিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলার শৌচাগার থেকে লাশটি উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল পেয়ে সাভার থানা রোড়ের পরিত্যক্ত পৌর কমিউনিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলার শৌচাগার থেকে এক ব্যক্তির আগুনে পোড়া ও অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ব্যপারে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক কাদের শেখ জানান, নিহতের শরীর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন পূর্বেই তাকে হত্যা করা হয়েছে, তাই মরদেহে পচন ধরেছে। তবে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে নিহতের পরিচয় ও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে। উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর ওই কমিউনিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলা থেকে ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারীর অর্ধনগ্ন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ঠিক দেড় মাস আগে ২৯ আগস্ট রাতে একই স্থান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সাড়ে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও নিহত ওই যুবকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।



Friday, December 19, 2025

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি)ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি)ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে

 


আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

  শীতের গভীর রাতে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

গত১৭ই ডিসেম্বর বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত অসহায় মানুষদের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তারা।

শীতবস্ত্র বিতরণেকালে এতে অংশ নিয়েছেন (জাবি)শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।সরজমিন তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়,ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলাধীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি)ক্যাম্পাসে রাজধানীর চাইতে অনেকটা বেশি শীত অনুভূত হওয়ার বিষয়টি লক্ষ করেন।

পরবর্তীতে ক্যাম্পাস ও আশপাশে অনেক অসহায় মানুষ আছেন, যাদের শীতবস্ত্র কিনার সামর্থটুকু নেই,যারা এই সময়ে গরম কাপড় না থাকায় কষ্ট অনুভূত হয়।

এসময় তাদের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত,বাসস্ট্যান্ড ও খোলামেলা জায়গায় বসবাসরত ছিন্নমূল মানুষের হাতে কম্বল ও শীতের পোশাক তুলে দেন জাবি শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

এছাড়াও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালে এক সাক্ষাৎকারে(জাবি)’র ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন,মানবতারসেবা আমাদের রাজনীতির মূল শিক্ষা।

তাছাড়া প্রত্যেকটি ছিন্নমূল অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।শীতার্ত মানুষের মুখে সামান্য হাসি ফোঁটাতে পারলেই,আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক বলে জানান তিনি।

এদিকে ছাত্রদল নেতা মোঃ হোসাইন আল রাশেদ বাদল বলেন,শীত মৌসুমে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত মানুষগুলোই সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করেন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মানবিকদায়বদ্ধতা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস প্রধান করেন।

এসময় শীতবস্ত্র বিতরণকালেউপস্থিত ছিলেন,জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি)শাখার ছাত্র দলের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক মুহিবুল্লাহ মুহিব মুস্তাইন বিল্লাহ ও সদস্য রফিকুল ইসলাম,হাবিবুর রহমান ,শামসুজ্জামান সায়েম,মির্জা সোহাগ,জাহিদ হাসান সাজ্জাদুল ইসলাম,অনন্যা ফারিয়া,নাইম,পারভেজ, তানিম,রাজু আহমেদ,বিপ্লবসহ প্রমুখ ও গণমাধ্যমসহ আরো অনেকেই