Thursday, June 19, 2025
সাভারের ঢাকা জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার প্রস্তুতি করে
আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি
সাভারে ঢাকা জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক কমিটি পূর্নাঙ্গ করার লক্ষ্যে সাভার পৌরসভা ওলামাদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাভার পৌরসভার ছায়াবীথি এলাকায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলমের বাসভবনে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর ও সাভার পৌরসভা জনপ্রিয় মেয়র প্রার্থী মোঃ খোরশেদ আলম।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ওলামাদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম মাসুদ রানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা ওলামাদলের সদস্য সচিব মোঃ রবিউল আউয়াল। প্রস্তুতি সভায় ঢাকা জেলা ওলামাদল নেতা মোঃ মাইন উদ্দিন মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাভার পৌরসভা ছাত্রদল নেতা মোঃ তাজ খান নাঈমের সঞ্চালনায় বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা ওলামাদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কামরুজ্জামান শামীম, ঢাকা জেলা ওলামাদল নেতা কোহিনুর রহমান করিমসহ সাভার পৌর বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন, হযরত আলী, খান মজলিস বাবু, রাশেদুজ্জামান বাচ্চু, ইউনুস খান, মনিবুর রহমান চম্পক, উজ্জ্বল হোসেন ও মিজানুর রহমান প্রমূখ। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খোরশেদ আলম বলেন, রাজনৈতিক জীবনে আমি এখনও পর্যন্ত অন্যায়ের সাথে কোনো আপোষ করি নাই, বাকি জীবনেও আপোষ করবো না ইনশাআল্লাহ। আমি সাভারবাসীকে জানাতে চাই, আমার কারণে আপনারা লজ্জা পাবেন না। কারণ দলের দুর্দিনে আমি পালিয়ে যাইনি বিএনপির সাথেই ছিলাম। তিনি আরও বলেন, বিএনপির দুর্দিনে যারা পাশে ছিলেন, যারা এখনো মাঠে আছেন, তাদের অবহেলা করা চলবে না। আমাদের সবার মনোযোগ রাখতে হবে যেন তারা দলের মূল্যায়ন পান।
Friday, June 6, 2025
সাভারের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম গ্রেপ্তার করে পুলিশ
আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকার সাভারে ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনের বিরুদ্ধে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে সাভার পৌরসভার দক্ষিণ রাজাসন ঘাসমহল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা।
গ্রেপ্তার মনির হোসেন সাদ্দাম ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার দক্ষিণ রাজাসন ঘাসমহল এলাকার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন সাদ্দাম ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলন চলাকালীন সময় হামলা ও গুলি বর্ষণে অংশ নেয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর পরিস্থিতি শান্ত ভেবে এলাকায় ফিরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভার মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ঘাসমহল এলাকা থেকে মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, মনির হোসেনের বিরুদ্ধে সাভারে ছাত্র হত্যার অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে ছাত্র-জনতার একদফা আন্দোলনকারীরা গত ৪ ও ৫ আগস্ট সাভার ও আশুলিয়ার বাইপাইলে জমায়েত হতে থাকেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও জনতার ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এ হামলায় প্রায় শতাধিক ছাত্র-জনতা নিহত এবং আহত হন সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা।
Thursday, June 5, 2025
নিশিরাতে আলো ঝলমল করছিল, বিজয়ের উল্লাস ছিল, আর সঙ্গে ছিলেন একজন হামজা চৌধুরী।
অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভে গেছে। গ্যালারির শোরগোল থেমে এসেছে। অন্ধকার ছড়িয়ে পড়া স্টেডিয়ামে তবু যেন আলোর কমতি নেই! রাতটা যে শুধুই ভুটানের বিপক্ষে একটা জয়ের নয়, নতুন শুরুর সাক্ষীও।
ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ শুধু ম্যাচই জেতেনি, জিতেছে আত্মবিশ্বাসও। ফিরে পেয়েছে ফুটবল-উন্মাদনাও। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এসেছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কোচিং স্টাফরাও। তাঁদের সাংবাদিকদের সারিতে বসিয়ে হেসে বললেন, ‘এটা প্রত্যাশিত জয়। সেট পিস থেকে গোল পেয়েছি আমরা, খেলোয়াড়দের মানসিকতাও ছিল দারুণ ইতিবাচক।
তবে আসল প্রশংসাটা এল প্রতিপক্ষের শিবির থেকে। ভুটানের জাপানি কোচ আতসুশি নাকামুরা বললেন, ‘হামজাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সে এক উঁচুমানের খেলোয়াড়। বল পায়ে এবং বল ছাড়া—দুই ভূমিকাতেই সে অনন্য। মাঠে তার উপস্থিতি অন্যরকম। এ ধরনের খেলোয়াড় যেকোনো দলের জন্যই সম্পদ।’
এরপর যোগ করলেন, ‘এই ম্যাচটি আমাদের জন্য কঠিন ছিল। গত বছর থিম্পুতে বাংলাদেশকে দেখেছি লম্বা বল খেলতে, কিন্তু এই বাংলাদেশ পাসিং, বিল্ডআপ ও মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণে অনেক উন্নতি করেছে। আর সেই পরিবর্তনের কেন্দ্রে হামজা।’ কাবরেরাও মেনে নিলেন সেই কথা, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। ভুটানের কোচের কথা মানছি আমি। হামজার সেট পিস থেকে গোল করা আমাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল। তার গোল আমাদের পরিকল্পনা সফল করেছে।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকের প্রশংসা করলেন কাবরেরা। প্রশংসা করলেন ভুটানের কোচও, ‘আমি সাধারণত জোরে কথা বলি। কিন্তু আজ গ্যালারির আওয়াজে নিজের কথা নিজেই শুনতে পারছিলাম না। এটা স্বাভাবিক, হোম ম্যাচ। তবে দর্শক অসাধারণ ছিল। আমরা হারলেও ভালো ম্যাচ হয়েছে।
বাংলাদেশের একাদশে বুধবার দেখা গেল পাঁচ প্রবাসী ফুটবলারকে—হামজা চৌধুরী, জামাল ভূঁইয়া, কাজেম শাহ, ফাহামিদুল ইসলাম ও তারিক কাজী। এই একাদশ কিছুটা চমকপ্রদ—বিশেষ করে কাজেমের জায়গা পাওয়া, জামালের প্রত্যাবর্তন। এ নিয়ে কাবরেরার মন্তব্য, ‘এই লাইনআপে আমি সন্তুষ্ট। সবাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছে।’

১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে এই প্রস্তুতি কতটা কার্যকর? কাবরেরার সোজাসাপটা উত্তর, ‘খুব ভালো। মাঠের পরিবেশ অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। আমরা উপভোগ করেছি।
উপভোগ করেছেন কানাডাপ্রবাসী শমিত সোমও। শমিত ভোরে ঢাকায় এসে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ দেখেছেন। ১০ জুন তাঁর অভিষেক হওয়ার কথা। সেদিন মাঠে হামজা, শমিত, ফাহামিদুলের বাংলাদেশকে দেখতে হয়তো দর্শকের ঢল নামবে।

Tuesday, June 3, 2025
সাভার পৌরসভার একমাত্র কুরবানির পশুর হাট উদ্বোধন করে
আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাভার পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত একমাত্র কোরবানির পশুর হাট উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে গেন্ডা পুকুরপাড় বালুর মাঠ এলাকায় এ কোরবানির পশুর হাট ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাভার পৌর প্রশাসক মো: আবুবকর সরকার।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর ও সাভার পৌরসভা জনপ্রিয় মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি।
উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দরা পশুর হাটটি ঘুরে দেখেন। এ সময় হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান রাজু ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিবুর রহমান চম্পকসহ আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নির্বাচন ডিসেম্বরের পর নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই — সালাহউদ্দিন আহমদ।
অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পর যাওয়ার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এ কথা বলেছেন সালাহউদ্দিন আহমদ। সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার শুরু উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এ বৈঠক হয়।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। আগেই জরুরি ভিত্তিতে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নির্বাচনমুখী, সে সংস্কারগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা ঐকমত্যের মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই, যেগুলো এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংশোধন যেগুলোর বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাবে সবাই একমত, সেগুলো অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
‘সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পর যাওয়ার মতো একটিও কারণ উল্লেখ করার মতো নেই,’ বলেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাহউদ্দিন এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘এ বিষয়টা আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আবারও সে পন্থার প্রস্তাব দিয়েছি। আজকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে আমরা দেখলাম, ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য সবার প্রস্তাব আছে। প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আশা করি, তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে সে ভূমিকা পালন করবেন।’
সংস্কার নিয়ে মতৈক্যের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের আলাপ–আলোচনায় মনে হয়েছে, কিছু কিছু জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁরা একমত হওয়ার জন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। হয়তোবা আমরা জাতীয়ভাবে সব বিষয়ে একমত পোষণ করতে পারব না, এ–ই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু আমরা আলাপ-আলোচনা করব। কোথাও আমরা একমত হতে পারব, কোথাও আবার একমত হওয়ার কাছাকাছি আসতে পারব, এভাবেই একটি জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এ বৈঠকে বিএনপির নেতাদের মধ্যে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। আজকের এ বৈঠকের জন্য ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
প্যারোল না পেয়ে জেলগেটেই দূর থেকে মায়ের শেষবারের মতো দেখা নেন সাবেক এমপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি পাননি রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান। এ কারণে সোমবার রাত সোয়া আটটায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে দূর থেকে তাঁকে শেষবার মায়ের মুখ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
আসাদুজ্জামান সম্প্রতি কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের রাজশাহী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। গেল বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে তিনি গ্রেপ্তার হন। এখন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী।
আসাদুজ্জামানের মা সালেহা বেগম ৮০ বছর বয়সে সোমবার বিকেলে মারা যান। স্বজনেরা জানান, তাঁর মৃত্যুর পর বড় ছেলে আসাদুজ্জামানের প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তবে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কারাফটকে মৃত মায়ের মুখটি একনজর দেখার।
এ ব্যাপারে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান প্যারোলে মুক্তি পাননি। তাই মানবিক কারণে মরদেহটি অ্যাম্বুলেন্সে করে জেলগেটে এনে দূর থেকে তাঁকে দেখানো হয়েছে।
প্যারোলের আবেদনের বিষয়ে জানার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মির্জা ইমাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি এডিএম (অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) দেখে থাকেন। তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম ফোন ধরেননি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা সাত ভাই–বোন। এর মধ্যে পাঁচ ভাই সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আসাদুজ্জামান কারাগারে। অন্য চারভাইও আত্মগোপনে। এই চার ভাইও মায়ের মুখ দেখার সুযোগ পাননি। শুধু এসেছিলেন সালেহা বেগমের তৃতীয় সন্তান আক্তারুজ্জামান। তিনি কোনো রাজনীতিতে জড়াননি। জীবিকা নির্বাহ করেন প্রাইভেট কার চালিয়ে।
স্বজনেরা জানান, বিকেলে বাড়ি গিয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখেছেন আক্তারুজ্জামান। তবে নিরাপত্তার সংশয়ে তিনিও অংশ নিতে পারেননি মায়ের জানাজায়।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় রাজশাহী নগরের মহিষবাথান গোরস্তানের পাশে জানাজা শেষে সালেহা বেগমের লাশ দাফন করা হয়।