Wednesday, March 5, 2025

গরু মাফিয়া ইমরানের কাহিনি

SHARE

 গরু মাফিয়া ইমরানের কাহিনি






সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অন্তত ১৩৩ কোটি টাকা অর্জন করেছেন। এর মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এদিকে ১৩৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সিআইডির করা মামলায় ছাগলকান্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে আসামিকে উপস্থিত করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী আল মামুন রাসেল। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামি ইমরানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বিধি অনুযায়ী ১৩৩ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ইমরান হোসেন, তৌহিদুল আলম জেনিথ ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। সংস্থাটির উপপরিদর্শক মো. জোনাঈদ হোসেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় চলতি বছরের ৩ মার্চ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন।

সংস্থাটি জানায়, দেশি গরু-ছাগল বিদেশি ও উচ্চবংশীয় বলে প্রচার চালিয়ে কোরবানির বাজার থেকে সাদিক অ্যাগ্রো অবৈধভাবে আয় করেছে ১২১ কোটি টাকার বেশি। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু এবং মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রি করা হতো। আর এভাবেই টাকা পাচার করেছেন ইমরান।

  

সোমবার বিকালে রাজধানীর মালিবাগ থেকে ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়ে এসব তথ্য জানান সিআইডির কর্মকর্তারা।

গতকাল বেলা ৩টায় মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. একরামুল হাবীব বলেন, ইমরান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার তৌহিদুল আলম জেনিথ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন। তিনি বলেন, ইমরান ও তার সহযোগীরা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রি করতেন। এ ছাড়া ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে এনে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ইমরান প্রতারণার মাধ্যমে দেশি গরু-ছাগল বিদেশি ও বংশীয় বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা আয় করে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।
SHARE

Author: verified_user

0 comments: