Tuesday, July 29, 2025

সাভারের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাবর্তন ও অ্যাডহক কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান

SHARE

 

আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধি

সাভারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শুকুরজান-জিন্নত আলী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাবর্তন ও অ্যাডহক কমিটির দায়িত্ব গ্রহন অনুষ্ঠান। সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে সাভার পৌরসভার জামসিং এলাকায় বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা মেয়র প্রার্থী লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম।

এসময় বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি সাবেক শিক্ষা অফিসার দেওয়ান আক্কাস আলীর সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নওশের আলী, পৌর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মনিবুর রহমান চম্পক, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রাশেদুজ্জামান বাচ্চু, পাথালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হযরত আলী, পৌর বিএনপি নেতা খান মজলিশ বাবু, বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য শামিম হোসেন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নওশের আলী তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ৯  মাস কতটা যন্ত্রণা সহ্য করেছি তা বলার ভাষা আমার নেই।

এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের মত, তাদের কাছ থেকে বিনা অপরাধে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। এটাই আমার সবচেয়ে বেশি কষ্ট হত।

আজ আমার সকল সন্তানদের আবারও কাছে পাওয়ায় আমি আনন্দিত। এজন্য অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি লায়ন মোঃ খোরশেদ আলমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, কিছু দিন পূর্বে এই বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সুষ্টি হয়েছিল। সেসময় থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ ও স্থানীয়রাসহ আরো অনেকেই এর সমাধান করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

এমনকি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও আমার কাছে গিয়েছিল। সকলেরই একটাই চাওয়া ছিল বিদ্যালয়ে সুন্দর পরিবেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়া। এছাড়া বিদ্যালয়ে একটা অ্যাডহক কমিটির দরকার ছিল সেটাও করে দেওয়া হয়েছে।

এখন আমার চাওয়া বিদ্যালয়ে নতুনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হউক এবং এই বিদ্যালয় আবারও তার পুরোনো গৌরব ফিরে পাক। এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি নেতা লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম। উল্লেখ্য, ‘জুলাই বিপ্লব’ এর পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নওশের আলীকে বিভিন্ন অভিযোগ ও দুর্নীতির দায়ে জোরপূর্বক স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে দীর্ঘ ৯ মাস পর তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ছিল ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

SHARE

Author: verified_user